ঘরে ফিরবে শিশু

বিয়েটা করেছে বেশিদিন হয়নি। পরিবারের মনমত না হওয়ায় অধিকাংশের মনমরা ভাব। সদ্য একটা বেসরকারী বিদ্যালয়ে ২০হাজার টাকার বেতনে চাকুরি নিয়েছে। রাজধানীতে বাসাভাড়া অনেক ।একসন্তান স্বামী-স্ত্রী তিনজনের পরিবার তাই বড় বাসার কথা ভাবা যায় না।তাই এক রুমের একটা বাসা ভাড়া নিয়ে উঠে পড়েছে। সন্তানও বেশি বড় নয় মাত্র এক বছর বয়স। অনেক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে হচ্ছে ইদানিং। সবই আল্লাহ্‌র পরীক্ষা। চাকুরীস্থলের কাছেই বাসা। দুপুরে বাসায় এসেই খেয়ে যায়।চাকুরীক্ষেত্রে অন্য কলিগদের থেকে বলতে গেলে কচি।

বিদ্যালয়ের সাইন্সের বিষয়গুলো পড়াতে হয় জিয়াদের। তেমন কাজের চাপ না থাকলেও মানসিক একটা চাপ অনুভব করে।কাজের বাইরে ধর্মীয় বিষয়াদি জানা আর আন্তর্জাতিক খবর বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের খবরাখবর রাখে। মুসলিম ভূমি গুলোর পরিস্থিতি ভয়াবহ।কেন এরকম হল? কি কারনে এ সমস্যায় ডুবে আছে তা নিয়ে চিন্তা করে মাঝেমধ্যে।নিজের পাশের দেশেই ভয়াবহ অত্যাচার,নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে কোনমতে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসতে পেরেছে মুসলিমরা। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারীই ধর্ষণের স্বীকার।শুধু মানববন্ধন ছাড়া আর কিছুই করতে না পারার একটা যন্ত্রণাও আছে জিয়াদের।যতবার মনে হয় ততবার ভেতর থেকে বলে উঠে-” আল্লাহ্‌ তুমি এদের রক্ষা কর।” তবে এলাকার বেশকিছু মসজিদ থেকে আশ্রয়শিবির গুলোতে ত্রাণ নিয়ে গেছে। ত্রাণের জন্য স্কুল থেকে টাকা তুলতেও সাহায্য করেছে জিয়াদ।

ইদানীং কাজের চাপ বেড়ে গেছে। স্কুলে সব ক্লাসেরই পরীক্ষা চলতেছে। আর খাতা দেখতে হয় তাই খবর দেখার খুব একটা সময় পায় না। সকাল সকাল খবর দেখে কেমন যেনো আঁতকে উঠল জিয়াদ! আন্তর্জাতিক মাধ্যম আল-জাজিরার একটি রিপোর্ট বলছে-” মিয়ানমারের মিলিটারি নির্যাতনের ৯ মাস পর থেকেই বর্তমানে প্রতিদিন ৬০ জন শিশু জন্মগ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে ১৬০০ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরো ২৫ হাজার শিশু জন্ম নিতে পারে।”[১] শিশুগুলোকে নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছে জিয়াদ। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে নয় বরং ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে।খুব খারাপ লাগছে জিয়াদের। কি করা উচিত সারাদিন তা ভাবার আর সময় পায়নি।

বাসায় এসে বিছানায় শুয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবছে। “আচ্ছা, এরকমভাবে জন্ম নেয়া শিশুদের তো যুদ্ধশিশু বলা হয়,তাই না?”-মনে মনে ভাবছে জিয়াদ। এদের বেড়ে উঠা কেমন হয়?এরা নিজেকে কিভাবে পরিচয় দেয়? এরা কি শুধু মায়েদের সাথে থেকে যায় নাকি কেউ পালক নিয়ে নেয়? এসব চিন্তা করতেই মনে হল আমাদের দেশেও তো ঠিক একই পরিস্থিতি ঘটে গেছে একবার। দুর্বিষহ কষ্ট আর যন্ত্রণা ভোগ করেছে সেই মা-বোনেরা। তাদের সন্তানদের কি হয়েছে? তাদের লালন-পালন কিভাবে করা হয়েছে? তাদের পরিচয় তারা কিভাবে জেনেছে? এমন প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছিল জিয়াদের মাথায়। এই যুদ্ধশিশুদের নিয়ে এইদেশে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। এখানে যুদ্ধ নিয়েই ইতিহাস বিকৃতি করে ফেলা হচ্ছে আর কোন তথ্য সঠিক পাওয়া যাবে এমনটা ভাবা যায় না।যুদ্ধ নিয়ে খুব বেশি জানে না জিয়াদ ও। বই-পুস্তক আর কিছু একালের লেখকদের লেখনী থেকে যা জানা যায় ততটুকুই।

যুদ্ধশিশু নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেছে জিয়াদ। এ ব্যাপারে হঠাৎ এত জানার আগ্রহ বাড়লো কেন? কারন ধর্ম। যুদ্ধের সময় যেহেতু পাকিস্তানী সৈন্যরা মুসলিম ছিল তাই বিষয়টাকে ধর্মের সাথে মিশিয়ে দেয়ার চেষ্টা অনেকেই করেছে। ফলে পোশাকে-আষাকে, আচরনে ধর্মীয় লেবাস লাগিয়ে সেটাকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সাংঘর্ষিক এমনভাবে ফুটিয়ে তোলার দৃশ্য কম দেখেনি জিয়াদ। তাই এই যুদ্ধশিশু গুলোর ধর্মীয় পরিচয় কি হয়েছিল? তারাও কি বড় হয়ে ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ভাব পোষণ করেছে? নাকি ধর্মহীন হয়ে গেছে? এ নিয়ে কিছু তথ্য জানতে পারল জিয়াদ। যুদ্ধের সময় এদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আর মিশনারি সংঘঠন নির্যাতিত মহিলাদের সেবা দিয়েছিল। যুদ্ধশিশুর প্রকৃত সংখ্যা কত,তা কেউ জানে না। সরকারি-বেসরকারি কোন সংস্থার কাছে এসংক্রান্ত কোন তথ্য-উপাত্ত নেই। একটি ইতালীয় চিকিৎসক দলের সমীক্ষার উল্লেখ আছে, যাতে যুদ্ধশিশু জন্মদানকারী মহিলাদের সংখ্যা চল্লিশ হাজার বলা হয়েছিল। লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড ফেডারেশনের (আইপিপিএফ) হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা দু’লক্ষ। ঐ সময়ে যুদ্ধশিশুদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত একজন সমাজকর্মী ড. জিওফ্রে ডেভিসের মতে, এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। ড. ডেভিসের মতে দু’লক্ষ মহিলা গর্ভধারণ করেন। কিন্তু এ সংখ্যাটিও কোনো সমীক্ষার ফল নয়, নিতান্তই তাঁর অনুমান ছিল।[২]

কানাডার ইউনিসেফ কমিটির তখনকার নির্বাহী পরিচালক বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার সফর করে ঢাকায় ইউনিসেফ কর্মকর্তা ও লীগ অব রেড ক্রস সোসাইটিস প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর অটোয়ায় সদর দপ্তরে ফিরে দেওয়া প্রতিবেদনে এ দেশে যুদ্ধশিশুর সংখ্যা ১০ হাজার বলে উল্লেখ করেছিল, যদিও এ সংখ্যা তখন সব মহলের সমর্থন পায়নি।[৩]

সঠিক সংখ্যা যাই হোক তাদের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। এটা বেশ ভাবিয়ে তুলেছে জিয়াদকে। এই শিশুদের অনেককে দত্তক নেয় বিভিন্ন মিশনারি সংস্থা। এরা জন্মগত ভাবেই মুসলিম[৪] কিন্তু হয়ত আর ধর্মকে জানা হয়ে উঠেনি তাদের। হয়ত তাদের পরিচয়ের জন্য এখন বিদ্বেষই পোষণ করছে। স্বাধীনতার পরপর বিভিন্ন খ্রিষ্টীয় মিশনারির সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু শিশু কানাডা যায়। মাদার তেরেসা ও তার মিশনারিজ অব চ্যারিটি এবং বাংলাদেশের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুটি কানাডীয় সংগঠন দত্তক গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়।পরবর্তী সময়ে আরো কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়া এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়।[৫] বিভিন্ন খ্রিষ্টীয় মিশনারির সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যায় বেশকিছু যুদ্ধশিশু। এ সম্পর্কে তথ্য নেই সে দেশের আর্কাইভেও তবে কিছু তথ্য চার্চে থাকতে পারে।[৬]

প্রতিটা তথ্য অবাক করে দিচ্ছিল জিয়াদকে। কানাডার রবার্ট ফেরি এবং হেল্কি ফেরি নামক দম্পতি ৫৪ জন যুদ্ধশিশুকে নিয়ে আসতে চেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের আপত্তিতে এত শিশু কানাডায় আনতে পারেনি।[৭] দত্তক নেয়া ব্যক্তিগণ অনেক শিশুর নাম পরিবর্তন করেছিল। বাদল নামের এক শিশুর দত্তক নেয় ডেইল এবং ডরেন গুড নামের দম্পতি, নতুন নাম দেয় রায়ান প্যাট্রিক ব্যাথেল।[৮] এদের অনেকেই এখন আর দেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন। আবার কেউ কেউ দেশে দীর্ঘদিন পর দেশে এসে ঘুরেও গেছে। এই যেমনঃকানাডার মনোয়ারা ক্লার্ক, রায়ান গুড,নেদারল্যান্ডসের মুজিবর দে গ্রাফ,কানা ভারহেউল।[৯]

প্রতিদিন কিছু সময় এসব ঘেটে বিভিন্ন তথ্য বের করে জিয়াদ। জিয়াদ একটা বিষয় স্পষ্ট লক্ষ্য করল, মুসলিম পরিচয়ে কেউ নেই তবে থাকতে পারে, হয়ত হাতেগুনা দু-চারটা। ১৯৭৪ সালে যখন অনেকে জানতে পারল তার সন্তান মুসলিম পরিচয়ে বড় হতে পারবে না, তখন তারা আর সন্তানদের দত্তক দিল না। বরং সেই মায়েরা নিজেদের সাথেই রেখে দিল। সরকারও তখন দত্তক নেয়ার প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে দেয়।[১০] এখনও এরকম বহু মিশনারি সংস্থা রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কাজ করছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো বিভিন্ন সেবার কাজে নিয়জিত রয়েছে। যদি রোহিঙ্গা শিশুগুলোকে নিয়ে এখন কিছু না করা যায় তবে ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা অনুমেয়। জিয়াদও ভাবছে এনিয়ে কি করা যায়।

আফিয়ার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিয়াদ আলোচনা করে। রোহিঙ্গা বিষয়টিও তার ব্যাতিক্রম নয়। মাঝেমধ্য বিভিন্ন খবর দেয় জিয়াদ। রাজনীতি, অর্থনীতি, ভূগোল কোন কিছুই বাদ যায় না তাদের পর্যবেক্ষণ আর বিশ্লেষণে। আফিয়ার মত স্ত্রী পাওয়া সৌভাগ্যের। প্রতিটা ভাল কাজে অনেক উৎসাহ দেয়। বলা চলে, আগে নিজের অলসতার কারনে যে কাজ করা হত না, এখন সেকাজ করতে একদমই কষ্ট হয় না। এরকমই হয় যখন দ্বীনদারি নারীকে নিজের সুখের সাথী, দুঃখের সাথী, জান্নাতের সাথী হিসেবে পাওয়া যায়। জিয়াদের সাথে কথা হচ্ছিল আফিয়ার। আফিয়া বলে উঠল- “আপনার সময়টা ভাল যাচ্ছে না, নয়ত একজন রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করার পরামর্শ দিতাম।” জিয়াদ বুঝতে পারল না কি ভেবে যে হঠাৎ একথা বলে উঠল। আফিয়ার সাথে বিয়ে হয়েছে মাত্র ছয় মাস। কোন স্থায়ী চাকরি না হওয়ার আগেই বিয়েটা করে  প্রথম দু’মাস বেশ কাঠখড় পুড়াতে হয়েছে। এরমধ্যেই আরেকটা বিয়ের পরামর্শ কেউ দেয়! যেখানে অন্য নারীরা স্বামীর ভাগ অন্য কাউকে দিতে রাজি না। এদেশের অধিকাংশ পুরুষের কাজকর্ম তাদের ভিতরে ভয়কে আরো বাড়িয়ে তোলে। “হয়ত, নতুন স্ত্রী নিয়ে মেতে উঠবে। প্রথমা এখন পুরাতন হয়ে গেছে,যার কারনে দ্বিতীয়া চলে এসেছে। পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনের স্বাগতম ঘটবে এখন।”- এমন ধারণাই রাখে নারীরা।

জিয়াদ এ নিয়ে আর না ভেবে বলল- “এসব চিন্তা সাধারণত যাদের সক্ষমতা আছে ভরণপোষণের দ্বায়-দায়িত্ব নেয়ার তারা ভাববে। আর বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সাথে বিবাহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এখন সেটা পাশ কাটিয়ে কেউ করতে গেলে তাকে মিডিয়ার চোখে যৌনপাচারকারী হতে হবে।”

“হুম। ভয়ানক এদের জীবন। এরা তো সমাজের সাথে মিশতে পারবে না, আরও একটা জায়গায় আবদ্ধ থেকে বোঝা হয়ে পড়ে থাকবে। শুনলাম আন্তর্জাতিক ত্রানও কমে এসেছে।” – বলল আফিয়া।

“ঠিক, অনেকটাই এরকম। তবে কোন যুদ্ধশিশুকে পালক নেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আমি ভাবছি।” এব্যাপারে আফিয়া একমত পোষণ করবে জানে জিয়াদ। করলও তাই। “তবে সেখানে প্রচুর দেশি-বিদেশি সাংবাদিক রয়েছে। পালক নেয়ার ব্যাপারে সরকারি কোন নির্দেশনা না থাকলে শিশু পাচারকারী হতে হবে তাদের চোখে।”

“হায়! ভাল কিছু করতে গেলেও মানুষের চোখে কতকিছু হতে হয়।”- বলে নিঃশ্বাস বেরিয়ে এল আফিয়ার।

ভালোর এই সুযোগটা কাজে লাগায় খারাপরা। যার কারণে প্রতিটা ভাল কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক ভাল ইনিশিয়েটিভ বন্ধ হয়ে যায়। এটা জিয়াদের জানা তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

জিয়াদ চায় না এ শিশুগুলোর অবস্থা এদেশের যুদ্ধশিশুর মত হউক। ধর্মকে আঁকড়ে ধরে লড়তে শিখুক। আমরা এগিয়ে যেয়ে অন্যায়কে বাধা দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। হয়ত এ শিশুরাই একদিন অত্যাচারিতদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। তাদের অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বলীয়ান হবে।পালক নেয়ার ব্যাপারে অন্যকে উৎসাহিত করা যায় কিনা ব্যাপারটি ভেবে দেখতে হবে।দম্পতিদের মধ্যে যারা বন্ধা ও নিতে ইচ্ছুক তাদের সাথে কথা বলা দরকার। শুরুতে এনিয়ে এলাকার জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে কথা বলল জিয়াদ। ইমাম হওয়ার  সুবাদের এলাকার অনেকের সাথে তাঁর ভাল সম্পর্ক। ইমাম সাহেবও আশ্বাস দিলেন, এ নিয়ে কথা বলবেন তিনি।

অন্য শিক্ষকদের মত জিয়াদ অবশ্য আলাদা প্রাইভেট পড়ায় না। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের যতটুকু সম্ভব বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করে। যেকারনে একজন ছাত্র প্রাইভেট পড়ার চিন্তা করে, তা যাতে না হয় তাই স্কুলেই সবাইকে পড়ার প্রতি উৎসাহ আর বিষয়টাকে বুঝার জন্য জোড় দেয় জিয়াদ। বিভিন্ন উৎসবের কারনে বেশকয়েকদিন ছুটি থাকায় ভাবছেন একবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘুরে আসবে। এরজন্য প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছে। যাবতীয় সকল দরকারী কাগজপত্র, কিছু কাপড় গুছিয়ে নিল ব্যাগে। পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, যেখানে চাকুরী করছে সেখান থেকে কর্মরত সার্টিফিকেট, সেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পর্যন্ত বাদ পড়েনি। পালক নেয়ার জন্য যাতে কোন ঝামেলায় পরতে না হয়। বুধবার দিন সন্ধ্যার টিকেট কাটল জিয়াদ। চাকুরী থেকে বাসায় ফিরে বিকালে রওনা দিবে।

সায়দাবাদে এসে বাস খুঁজে সেটায় উঠে বসল জিয়াদ। কিছুক্ষণ পরেই ছাড়বে। রোহিঙ্গা সংকটের শুরুতে, কাজ থাকার কারনে ত্রাণ বহরের সাথে যাওয়া হয়ে উঠেনি জিয়াদের। বাসটি ছাড়া মাত্র মনে হল যেন এ যাত্রা আর দশটা যাত্রার মত নয়। একস্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য নয়, বেঁচে থাকার জন্য নয়, পায়ে হেঁটে দীর্ঘপথ অতিক্রম জন্য তো নয়ই।

তথ্যসূত্র:

[১] https://goo.gl/zc6ftV
[২]http://bn.banglapedia.org/index.php?title=যুদ্ধশিশু
[৩]https://goo.gl/WZ7zty
[৪]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ৪৮/ তাকদীর হাদিস নংঃ৬৫১৯
[৫]https://goo.gl/LPhJtw
[৬]https://goo.gl/Ar78ax
[৭] https://goo.gl/fPiwjU
[৮]https://goo.gl/q5y434
[৯] লেখকঃ মুস্তফা চৌধুরী এর “৭১-এর যুদ্ধশিশু”

[১০] http://bn.banglapedia.org/index.php?title=যুদ্ধশিশু

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button
slot online skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 rtp slot slot bonus new member skybet88 mix parlay slot gacor slot shopeepay mix parlay skybet88 slot bonus new member