এবং হিমু যখন প্র্যাকটিসিং মুসলমান (পর্ব-৮)

ম্যানেজার হায়দার আলি খাঁ আমাকে দেখে আনন্দিত গলায় বললেন, সকাল থেকে আপনার জন্য একটা ছেলে বসে আছে। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল , শেষে আমি আপনার ঘর খুলে দিলাম।
ঘর খুলে দিলেন কেন?
না মানে ভদ্রগোছের মনে হল, আঠারো উনিশ বছর বয়স। কতক্ষণ বাইরে দাড়ায়ে থাকবে?
নাম কি ছেলের?

নাম জিজ্ঞেস করা হয় নাই। চেহারা ছবি ভালো মা শা আল্লাহ ।
বাদল নাকি? বাদল হবার সম্ভাবনা খুব্ই কম। সে এসে দীর্ঘ সময় ঘরে বসে থাকবে না। নামায পড়তে বাইরে যাবে। আর যাওয়ার সময় নিজ থেকেই ম্যানেজারকে তার নাম বলবে। তাহলে কে হতে পারে?
ঘরে ঢুকে দেখি বাদলদের বাসায় যে ক্লিন সেইভড ছেলেটিকে দেখেছিলাম — সে। পদার্থবিদ্যার ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র। সেরাম না জানি ইরাম নাম।
আমি খুব সহজ ভাবে ঘরে ঢুকে বিন্দু মাত্র আশ্চর্য না হওয়ার ভঙ্গি করে বললাম , কি খবর ইরাম , ভালো?
ইরাম বসে ছিল , উঠে দাঁড়ালো। কিছু বলল না। তার মুখ কঠিন। ভুরু কুচকে আছে। বড় ধরনের ঝগড়া শুরুর আগে মানুষের চেহারা এরকম হয়ে যায়।
আমার এখানে কি মনে করে? গলায় কাঁটা?
আপনার সঙ্গে আমার কথা আছে , আমি সেই সকাল এগারোটা থেকে বসে আছি।
বোস। তারপর বল কি কথা।
আপনার সঙ্গে আমার কথা ছিল যে আপনি আমাকে আপনি আপনি করে বলবেন।
আমার একদম মনে থাকে না । কোন কোন মানুষকে প্রথম থেকেই এতো আপন মনে হয় যে শুধু তুমি বলতে ইচ্ছে করে।
আমার সামনে মহামনব সাজতে হবে না । এই সব ভাবের কথা বাদ দিন আমি বাদল নই।
আচ্ছা।
আপনাদের মতো ভণ্ড দের আমি চিনি। আপনার এই ভণ্ডামি দেখতে আমি আসি নি । আপনার সঙ্গে আমার কিছু জরুরি কথা আছে। আমি কথা গুলি বলে চলে যাব।
অবশ্যয়ই । একটু বসুন ঠাণ্ডা হোন, ঠাণ্ডা হয়ে তারপর বলুন।
ইরাম বসল না। দাঁড়িয়ে রইলো ।
কথাটা হচ্ছে , বাদলদের বাড়িতে যে কাজের বুয়া আছে– তার একটা মেয়ে হারিয়ে গিয়েছিল।
ও হ্যাঁ , মনে পড়েছে। লুতফা নাম।
সে নাকি আপনাকে বলেছিল তার মেয়েকে খুঁজে দিতে।
হ্যাঁ বলেছিল , এখনো খোজা শুরু করিনি আসলে ভুলেই গিয়েছিলাম আপনি বলায় মনে পড়ল।
আপনাকে খুঁজতে হবে না । মেয়ে পাওয়া গেছে।
তাই । আলহামদুলিল্লাহ। বাচা গেল। ঢাকা শহরে দেড় কুটি লোকের মাঝখান থেকে লুতফাকে খুঁজে পেতে সমস্যা হত।
আপনাকে সে যেদিন বলল। সেদিন দুপুরেই মেয়ে উপস্থিত । ব্যপারটা যে পুরো পুরি কাক তালিয় তাতে কি আপনার কোন সন্দেহ আছে? আপনি নিশ্চই দাবি করেন না আপনার আধ্যাতিক ক্ষমতা দিয়ে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন?
পাগল হয়েছেন ।
বুয়ার ধারনা আপনার দোয়াতেই কাজ হয়েছে। সে এখন নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামায ধরেছে। সব পুরুষের সামনে পর্দা করছে । কাজ টাজ কিছুই ঠিক মতো করছে না। খালি নাকি জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে কান্না কাটি করছে। মজার ব্যপার হল বাদলও বুয়াকে সাপোর্ট দিচ্ছে। সেও বিশ্বাস করে আপনার দোয়াতে কাজ হয়েছে।
আল্লাহ ইচ্ছা করেছেন তাই মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এখানে আমাদের কারওই হাঁত নেই।
ইরাম কঠিন গলায় বলল ঃ
আপনার মতো মানুষের জন্যই সমাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। আপনারাই সমাজের ইকুইলিব্রিয়াম নষ্ট করেন। আপনারাই সাধারণ মানুষের ব্রেইন ওয়াস করে টেরোরিষ্ট বানিয়ে ফেলেন। বাদলের মাথা তো আপনি আগেই খারাপ করেছিলেন এখন বুয়ার মাথাও খারাপ করলেন।
তাই না –কি ।
হ্যাঁ তাই । বাদলের মাথা যে আপনি কি পরিমাণ খারাপ করেছেন সেটা কি আপনি জানেন।
না জানি না ।
দু -এক দিনের ভেতর একবার এসে দেখে যান। ব্রাইট একটা ছেলে। বাবা -মা র কত আশা ছেলেটাকে নিয়ে … আপনি তাকে সম্পূর্ন নষ্ট করে ফেলেছেন। ফালতু লোক। চৌদ্দশ বছর আগের সব উদ্ভট উদ্ভট কথা। মহাপুরুষ মহাপুরুষ খেলা। ইমানদার সেজে থাকা। রাত দুপুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নামাযে দাঁড়িয়ে থাকলেই কি মানুষ বিশেষ কিছু হয়ে যায়?
ইরাম রাগে কাঁপছে। ছেলেটা এতটা রেগেছে কেন বুঝতে পারছিনা । এত রাগার তো কিছু নেই। আমার যদি ভণ্ডামি থাকে তাহলে এতে তার কি যায় আসে?
ইরাম বলল, আমি এখন যাব।
চা — টা কিছু খাবেন না?
না। আপনি দয়া করে বাদলকে একটু দেখে যাবেন। ওর অবস্থা দেখে আমার কান্না পাচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে হাজার বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্যে আসলে আপনার শাস্তি হওয়া উচিত। কঠিন শাস্তি।
ইরাম গট গট করে বের হয়ে গেলো। ছেলেটা সুদর্শন। দাড়ি না থাকায় ম্যানলি ভাবটা নেই। দাড়ি ছাড়া ছেলেদের রাগি চেহারা ভালো লাগে না । তবে ইরামের রাগটা অন্যরকম ।কিছু রাগ আছে যাতে অবিশ্বাসের ভাইরাস থাকে , আর কিছু রাগ বিশ্বাসের প্রবেশ পথের সঙ্গী হয়। ইরামের রাগটা কি বিশ্বাসের প্রবেশ পথের সঙ্গী হয়ে এসেছে। ইরাম কি সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছে ? বিশ্বাসের এই বীজ আল্লাহ যার অন্তরে চান বুনে দেন। তারপর সেই বীজ এক সময় বড় বৃক্ষ হয়। বট বৃক্ষের মতো বড় বৃক্ষ হয়ে ডাল পালা ছড়াতে থাকে।
ইরাম এর ব্যপারে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি বেশ কয়েকবার। আল্লাহ যার জন্যে হেদায়াত রেখেছেন তাঁর হেদায়াত কেউ ঠেকাতে পারবে না আর যাকে পথভ্রষ্ঠ করবেন তাকে কেউ পথে আনতে পারবে না। ইরামের বেলায় আল্লাহর ইচ্ছা কি সেটা তিনিই ভালো জানেন। তবে বাদলদের বাড়িতে এখন ভুলেও যাওয়া যাবে না। ইরাম মেসের ঠিকানা বের করে চলে এসেছে কিভাবে সেটাও এক রহস্য । ঠিকানা তার জানার কথা না। বাদল আমাকে খুঁজতে মেসের ঠিকানা যোগাড় করে চলে আসতে পারে , এছারা ঐ বাড়ির কারওই আমাকে খুঁজে পাবার কথা না।
রাতে খেতে গিয়ে শুনি বদরুল সাহেব আমার খাওয়া খেয়ে চলে গেছেন। মেসের বাবুর্চি খুবই বিরক্তি প্রকাশ করল।
রোজ এই লোক এই কাম করে। আপনের খাওয়া খায়।
ঠিকই করেন। আমার সাথে তার এই ব্যপারে কথা হয়েই আছে। এখন থেকে হয়তো তিনিই খাবেন।
আপনি খাবেন না ?
না। আমি কিছুদিন বাইরে থাকব ।
আমাদের নবিজি(সা) কত রাত ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমিয়েছেন আল্লাহই ভালো জানেন। ক্ষুধার্থ অবস্থায় ঘুমানোর আলাদা আনন্দ আছে। সেই আনন্দ পাবার উপায় হচ্ছে।পেট ভর্তি করে পানি খেয়ে ঘুমুতে যাওয়া। ডান কাত হয়ে ঘুমানো। পেট ভর্তি করে পানি খাওয়ানোর জন্যেই হোক আর অন্য কারণেই হোক তখন ঝিমুনি আসে।ক্ষুধার্থঅবস্থায় ঘুমের সময় স্বপ্নও হয় অন্যরকম। তবে আজ তা হবে না রাতে না খেলেও দিনে খেয়েছি। ক্ষুধার্থ ঘুমের সরূপ বুঝতে হলে সারাদিন রোযা থাকার পর শুধু খেজুর দিয়ে রোযা খুলে তারপর শুধু পেট ভর্তি করে পানি খেয়ে ঘুমুতে যেতে হয়। অন্যরকম এক ঝিমুনি আসে তখন।
বিছানায় শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে দরজায় মৃদু টোকা পরল। বদরুল সাহেব মিহি গলায় ডাকলেন, হিমু ভাই। হিমু ভাই। আমি উঠে দরজা খুললাম।
বদরুল সাহেব লজ্জিত মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। তার হাতে এক ঠোঙ্গা মুড়ি, খানিকটা গুড়। আমি বললাম, ব্যপার কি বলুন তো?
শুনলাম আপনি খেতে গিয়েছিলেন। এদিকে আমি ভেবেছি আপনি আসবেন না… ।
ও এই ব্যপার।
খুব লজ্জায় পড়েছি হিমু ভাই। আপনার জন্যে মুড়ি এনেছি।
ভাল করেছেন। আজ রাতটা আর কিছু খাবো না ঠিক করেছি। আচ্ছা এনেছেন যখন দেখি এক মুঠো।
মাত্র এই টুকু ? গুড় দিয়ে ভালো করে খান ।
আজ খাবো না ভাই। আপনি আনলেন তাই খেলাম। আপনি গুড়-মুরি খান । আমি মুড়ি খাওয়ার শব্দ শুনি।
আর খাবেনই না হিমু ভাই?
না। তারপর ঐ দিন কি হল বলুন পুলিশ রা যত্ন করে খাইয়েছিল ?
যত্ন বলে যত্ন। এক হোটেলে নিয়ে গেছে। পোলাও , খাসির রেজালা, হাসের গশত, সব শেষে দৈ মিষ্টি। এলাহী ব্যপার । খুবই যত্ন করেছে। হাঁসের গোশত টা অসাধারণ ছিল। এত ভাল হাঁসের গোশত আমি আমার জীবনে খাই নি। বেশি করে রসুন দিয়ে ভুনা ভুনা করেছে। এই সময়ের হাঁসের গশতে স্বাদ হয় না। হাঁসের গশত শীতের সময় খেতে হয়। তখন নতুন ধান ওঠে। ধান খেয়ে খেয়ে হাঁসের গায়ে চর্বি হয়। আপনার ভাবীও খুব ভাল হাঁস রাঁধতে পারে আলহামদুলিল্লাহ। নতুন আলু দিয়ে রাঁধে। আপনাকে একবার নিয়ে যাব ইন শা আল্লাহ । আপনার ভাবীর হাতের হাঁস খেয়ে আসবেন।
কবে নিয়ে যাবেন?
এই শীতেই নিয়ে যাব। আপনার ভাবীকে চিঠিতে আপনার কথা প্রায়ই লিখি তো। তারও খুব শখ আপনাকে মেহমানদারি করার । একবার আপনার অসুখ হল। — আপনার ভাবীকে বলেছিলাম দোয়া করতে। সে খুব চিন্তিত হয়েছিল। কোরআন খতম দিয়ে বসে আছে। মেয়ে মানুষ তো , অল্পত্বে অস্থির হয়।
আপনার চাকরির কি হল? শনিবারে হবার কথা ছি না? গিয়েছিলেন?
বদরুল সাহেব চুপ করে রইলেন। আমি বিছানায় উঠে বসতে বসতে বললাম,
যাননি?
জ্বি , গিয়েছিলাম। ইয়াকুব ভুলে গিয়েছিল।
ভুলে গিয়েছিল?
হ্যাঁ । সে তো একটা কাজ নিয়ে থাকে না। অসংখ্য কাজ করতে হয়। আর পি- এ সেই ফাইল দেয়নি । কাজেই ভুলে গেছে।
এখন কি ফাইল দিয়েছে?
এখন তো দেবেই। পি -একে ডেকে খুব ধমকা ধমকি করল। আমার সামনেই করল। বেচারার জন্যও মায়া লাগছিল। সে তো আর শত্রুতা করে আমার ফাইল আটকে রাখেনি। ভুলে গেছে। মানুষ মাত্রই তো ভুল হয় ।
ইয়াকুব সাহেব এখন কি বলছেন? কবে নাগাদ হবে?
তারিখ -টারিখ বলেনি। আরেকটা বায়োডাটা জমা দিতে বলেছে।
দিয়েছেন?
হু।
এবারো কি ফাইলের উপর আর্জেন্ট লিখে দিয়েছেন?
হু ।
আবার কবে খোজ নিতে বলেছেন।
বলেছে বার বার এসে খোজ নেয়ার দরকার নেই । ওপেনিং হলেই চিঠি চলে আসবে।
সেই চিঠি কবে নাগাদ আসবে সেটাকি বলেছে?
খুব তাড়াতাড়ি আসবে। আমি আমার অবস্থার কথাটা বুঝিয়ে বলেছি। চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম যে অন্যের খাবার খেয়ে বেঁচে আছি। শুনে সে খুবই মন খারাপ করল।
বুঝলেন কি করে যে মন খারপ করেছে? মুখে কিছু বলেছে?
কিছু বলেনি। চেহারা দেখে বুঝেছি।
আমার কি মনে হয় জানেন বদরুল সাহেব, আপনার অন্যান্য জায়গাতেও চাকরির চেষ্টা করা উচিত। ইয়াকুব সাহেবের ভাব গতি ভালো মনে হচ্ছে না।
স্কুল জীবনের বন্ধু। আমার সমস্যা সবটাই জানে। আমার ধারনা এক সপ্তাহের মধ্যেই চিঠি পাব।
যদি না পান?
না পেলে অফিসে গিয়ে দেখা করব। বার বার যেতে লজ্জাও লাগে। নানান কাজ নিয়ে থাকে। কাজে ডিস্টার্ব হয়।
ঘর অন্ধকার । কচ কচ শব্দ হচ্ছে। বদরুল সাহেব মুরি খাচ্ছেন ।
হিমু ভাই।
জ্বি ।
ফ্রেস মুড়ি। আরেকটু খেয়ে দেখবেন?
আপনি খান।
মুরির আসল স্বাদও পাওয়া যায় শীত কালে । আপনার ভাবী মুরি দিয়ে মোয়া বানাতে পারে। কি জিনিস তা না খেলে বুঝবেন না।
একবার খেয়ে আসবো ইন শা আল্লাহ।
অবশ্যয়ই খেয়ে আসবেন আল্লাহ চাইলে।
বদরুল সাহেব।
জ্বি
আমি কিছু দিন অন্য জায়গায় গিয়ে থাকব। কেউ আমার খোঁজে আসলে বলার দরকার নেই আমি কই আছি- এই সম্পর্কে। কি গোপন রাখতে পারবেন তো।
আপনি বললে অবশ্যই পারব ইন শ আল্লাহ। আপনার জন্য করব না এমন কাজ নাই হিমু ভাই। শুধু আল্লাহর নাফরমানি করতে পারব না।
আল্লাহর নাফরমানি করতে হবে না ভাই , আল্লাহ মাফ করুক । শুধু তথ্য গোপন রাখতে হবে। ইরাম নামের একটা ছেলে এসে যদি আমার খোজ করেন , তাকে বলবেন যে আমার সাথে দেখা করতে হলে পরে আসতে হবে। কোথায় আছি সেটা বলা নিষেধ , তবে রুপার বাবা এলে কোথায় আছি সেই ঠিকানা দিয়ে দেবেন।
ঠিকানা কি?
আমার এক খালা আছে। রেশমা খালা। গুলশানে থাকে। গুলশান দুই নম্বর। বাড়ির নাম গনি প্যালেস। ঐ প্যালেসে সপ্তাখানে যেয়ে থাকব ইন শা আল্লাহ। না থাক রুপার বাবাকেও ঠিকানা দেয়ার দরকার নেই।
বদরুল সাহেব গুড় কামর দিয়ে মুরি চাবাচ্ছেন । মচ মচ শব্দ চার দেয়ালে বাড়ি খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । শুনতে ভালোই লাগছে। আল্লাহ কার রিজিক কোথায় রেখেছেন সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। হয়ত আমার মেসের খাবারে বদরুল সাহেবের নাম লেখা আছে। সেই খাবার চাইলেও আমি খেতে পারব না। বদরুল সাহেবের জন্যে যা বরাদ্দ আছে সেটা তো আল্লাহ তাকে দেবেনই।
(চলবে ইন শা আল্লাহ … )

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88