ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ
ইমাম ইবনে তাইমিয়া ছিলেন সপ্তম হিজরী শতকের একজন মুজাদ্দিদ। এ সময় মোঙ্গল আক্রমণে বাগদাদ কেন্দ্রিক মুসলিম রাজ্যগুলো ভয়াবহ ধ্বংসের কবলে নিপতিত হয়। একদিকে যেমন ধ্বংস হয় সমৃদ্ধ বাগদাদ ও দামেশক নগরী, তেমনি অন্যদিকে রাজ্যহারা মুসলিমরাও নানা দল ও মতে বিভক্ত হয়ে ভাতৃঘাতী কলহে নিমজ্জিত হয়। সামান্য কারণে এক মুসলমানকে আরেক মুসলমান ‘কাফের’ ও ‘ফাসেক’ বলতে দ্বিধা করতো না। ধর্মবেত্তাদের পারষ্পরিক হিংসা-বিদ্বেষের ফলে মুসলিমেদর জাতীয় সত্তার মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়েছিলো। পীরপূজা, কবরপূজা, ফেতনা-ফাসাদ, নানা ধরণের কুসংস্কার ও ভাতৃহিংসার বিষবাষ্পে যখন সত্যের দীপ্ত সূর্য প্রায় অস্তমিত হয়ে গিয়েছিল এবং সারা দুনিয়ার উপর কাফেরী ও গোমরাহীর নি:সীম অন্ধকার গাঢ় হয়ে উঠেছিল ঠিক সেই সময়ই ইমাম ইবনে তাইমিয়াহর মতো মর্দে মুজাহিদের আবির্ভাব ঘটে দামেশকের মাটিতে।
তিনি বিদআত, গোমরাহী ও ভাতৃ-হানাহানির কবল থেকে মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের মৌলিক কাঠামোর উপর সংগঠিত করার জন্য ক্ষুরধার যুক্তি, আশ্চর্য তর্ক-শক্তি ও লেখনীর মাধ্যমে এগিয়ে আসেন। এজন্য তাকে সহ্য করতে হয় শাসক ও বিরুদ্ধবাদীদের অমানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতন। বারবার শাসকের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় তাঁকে, জীবনের একটি অংশ কাটাতে হয় জেলে।
সত্যিকার দ্বীনের প্রতিষ্ঠায় শাসকের নির্যাত, বিরুদ্ধবাদীদের রক্তচুক্ষু কখনোই তাকে ভীত ও শংকিত করতে পারে নি। তাঁর সুচিন্তিত লেখনী কেবল তৎকালীন গোমরাহী ও বিদআতের অপনোদনই করেনি, তাতে ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনাও রয়েছে।
বিশিষ্ট আলিম, খ্যাতিমাল লেখক ও ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আবদুর রহীম ইমাম ইবনে তাইমিয়ার জীবনী ও অবদানের কথা তুলে ধরেছেন “ইমাম ইবনে তাইমিয়া” শীর্ষক বইটিতে।
বইটি ছোট হলেও এতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। যা পড়ে আমরা আমাদের ঈমানী জযবায় একটুখানি উদ্দীপ্ত করতে পারবো বলে আশা রাখি।
বইটিতে সহজ সরলভাবে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার জীবনের অংশ তুলে ধরেছেন। সকল বয়সী পাঠকদের জন্য এটা সহজপাঠ্য।
এক নজরে বইটি:
ইমাম ইবনে তাইমিয়া
লেখক: মাওলানা আবদুর রহীম
প্রকাশনায়: ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
পৃষ্ঠা: ৩১
সাইজ: ১.৫ মেগাবাইট
ডাউনলোড
ইমাম ইবনে তাইমিয়া নামে বইটা ডাউনলোড দিতে পারছি না